আরও দেখুন
রেক্ট্যাঙ্গেল বা আয়তকার হলো ট্রেডিং এর প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ করার জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সহজ একটি পদ্ধতি। যদিও চার্টে এটা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ, এটা একটি শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ আকৃতি। এটা প্রবণতা চলমান থাকার সংকেত দেয়। ট্রেডারগণ এই চিত্রটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারলে বাজারে তারা সফলভাবে বাজারে প্রবেশ করতে পারে।
রেক্টাঙ্গেল বা আয়তকার প্যাটার্ন টেকনিক্যাল বিশ্লেষণে ব্যবহৃত খুবই জনপ্রিয় এবং সহজ একটি প্যাটার্ন। যদিও এটা একটি সহজ প্যাটার্ন, কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী প্যাটার্ন। এই প্যাটার্নের মাধ্যমে প্রবণতা চলমান থাকার সম্ভাবনা নির্দেশিত হয়। এই প্যাটার্নটি চিহ্নিত করার পর একজন ট্রেডার সম্ভাব্য লাভজনক অর্ডার প্রদান করতে পারে।
অন্যভাবে বলা যায়, রেক্টাঙ্গেল প্রবণতার মধ্যে স্বল্পকালীন স্থবিরতা নির্দেশ করে, ফলে প্রবণতার পরবর্তী যাত্রা শুরু হওয়ার পূর্বে প্রাইস কনসলিডেশন তৈরি হয়। বাজারে যখন সাইডওয়েসে ট্রেডিং হয়, তখন এই প্যাটার্নটি তৈরি হয়।
এই প্যাটার্নটি টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের অন্য একটি প্যাটার্নের মত দেখায়। যাহোক, রেক্টাঙ্গেল প্যাটার্নের অনুভূমিক সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স লাইন থাকে, এবং এর সাথে একটি পতাকাদণ্ড থাকে। এই সমান্ত্রাল লাইনদুইটির মধ্যে মূল্য ওঠানামা করে। চিত্রটি সম্পন্ন করার জন্য উলম্ব লাইন আঁকা যায়, কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করার কারণে এর প্রয়োজনীয়তা নেই।
মৌলিক বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। আয়তকার চিত্র সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংবাদের পূর্বে তৈরি হয়, যার ফলাফল পূর্ব থেকেই ধারণা করা যায় না। যদি খবরে প্রকাশিত তথ্য পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়, তাহলে প্রবণতা পূর্বের পরিস্থিতিতেই চলমান থাকে।
প্রায়ই দেখা যায়, মূল্য পূর্ববর্তী প্রবণতার দিকে চলমান রয়েছে। এই কারণে আয়তাকার প্যাটার্নকে প্রবণতা চলমান থাকার প্যাটার্ন হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। যাহোক, মূল্য মাঝে মাঝে প্যাটার্ন ভেঙ্গে বিপরীত দিকে চলা শুরু করে। এক্ষেত্রে আয়তকার প্যাটার্নকে রিভার্সাল প্যাটার্ন বলা যায়। সাধারণত সামষ্টিক অর্থনীতির পরিসংখ্যান পূর্বাভাসের সাথে মিলে না।
চার্টের মধ্যে আয়তাকার চিত্রকে চিহ্নিত করা খুবই সহজ। এটাকে একটি ছোট ট্রেডিং চ্যানেল বা সাইডওয়েস ট্রেন্ড এর মত মনে হয়। চিত্র থেকে মনে হয় বিয়ার এবং বুল সমান সক্ষমতায় রয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সাপোর্ট বা রেসিস্ট্যান্স ভেদ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আয়তাকার দ্বারা প্রবণতার চলমান থাকা নির্দেশ করে।
আয়তকার চিত্র যদি বুলিশ মার্কেটে আবির্ভূত হয়, তাহলে মূল্য উর্ধ্বমুখী হয়ে ভেদ করে, এবং এরকম চিত্রকে বুলিশ রেক্টাঙ্গেল বা ঊর্ধ্বমুখী আয়তকার চিত্র বলে। অন্যদিকে, এটা বিয়ারিশ মার্কেটে দেখা গেলে মূল্য নিম্নমুখী হয় এবং চিত্রকে তখন বিয়ারিশ রেক্টাঙ্গেল বা নিম্নমুখী আয়তকার চিত্র বলে।