empty
 
 
22.10.2024 09:03 AM
২২ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, যার মানে মার্কেটে পর্যবেক্ষণ করার মতো কোন প্রতিবেদন থাকবে না। তবে, গতকাল এই পরিস্থিতি মার্কেটে সারাদিন ধরে নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে বাধা দেয়নি। অবশ্যই, এটা ভাবা বোকার মতো কাজ হবে যে আজকের পরিস্থিতি গতকালের মতোই হবে, তবে মার্কেটে এখনও শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।

মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি প্যাট্রিক হার্কার, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্যকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাত্ত্বিকভাবে, এদের তিনজনই এমন কিছু নতুন তথ্য দিতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এর সম্ভাবনা খুবই কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং তাদের বক্তব্যের মধ্যে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। ক্রিস্টিন লাগার্ডও গত সপ্তাহের ইসিবির বৈঠকের পর মুদ্রানীতির বিষয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে পারেন, মার্কেটের ট্রেডাররা ইসিবির বৈঠক থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পেয়েছিল।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই আবারও নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। তবে উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তব্য ইউরোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হয় না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.